সিলেট স্ট্রাইকার্সের শুরুটা হলো দুর্দান্ত। উদ্বোধনী জুটির রানের ধারা ধরে রাখেন জাকির হাসানও।

তাতে বেশ ভালো একটা রানের সংগ্রহই পেয়েছিল সিলেট। জবাব দিতে নেমে চট্টগ্রামের মাঝে কিছুটা চাপে পড়লেও শাহাদাৎ হোসেন দীপু ও নাজিবউল্লাহ জাদরানের দুর্দান্ত ব্যাটিং ম্যাচ জিতে নিয়েছে।
শনিবার মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের ম্যাচে সিলেটকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। শুরুতে ব্যাট করে ২ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান করে সিলেট। জবাব দিতে নেমে ৯ বল আগেই ম্যাচ জিতে নেয় চট্টগ্রাম।

শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। দলটির হয়ে ৬৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোহাম্মদ মিথুন। কার্টিস ক্যাম্পারের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে মিথুন ফিরলে এই জুটি ভাঙে। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ২৮ বলে ৪০ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

এরপর ক্রিজে আসা জাকির হাসান শুরুটা করেছিলেন ধীরগতির। প্রথম ১১ বলে ৮ রান করেন তিনি। এর মধ্যে আবার ৩০ বলে ৩৬ রান করে আউট হয়ে যান নিহাদুজ্জামানের বলে। এরপর একপ্রান্ত থেকে ঝড় তোলেন জাকির হাসান।

ইনিংসের শেষ অবধি তাকে আউট করতে পারেননি কেউ। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৪৩ বলে ৭০ রান করেছেন তিনি। আরেক প্রান্তে অপরাজিত থাকা হ্যারি টেক্টর ২০ বলে ২৬ রান করেন।

রান তাড়ায় নেমে তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট হারালেও পাওয়ার প্লের শেষ অবধি ভালো অবস্থাতেই ছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৬ রান করে চট্টগ্রাম। পরের ওভারে এসে ভয়ঙ্কর হতে চাওয়া আভিস্কা ফার্নান্দোকে আউট করেন নাজমুল ইসলাম। ৭টি চার ও একটি ছক্কায় ২৩ বলে ৩৯ রান করেন আভিস্কা।

পরের ওভারে বোলিংয়ে আসেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। প্রায় ২৫০ দিন পর বোলিং করতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট পেয়ে যান তিনি। ১৪ বলে ১১ রান করে পুল করতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দেন ইমরান। বাউন্ডারির কাছে দাঁড়িয়ে তখন ক্যাচ ধরেন ইয়াসির আলি।

হুট করে দুই উইকেট হারিয়ে পড়া চাপ থেকে চট্টগ্রামকে বের করেন শাহাদাৎ হোসেন দীপু ও নাজিবউল্লাহ জাদরান। শুরুতে কিছুটা চাপে থাকলেও পরে দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন তারা।

দুজন মিলে ৬৮ বলে অপরাজিত ১২১ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ জিতে নেয় চট্টগ্রাম। বিপিএল অভিষেকেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন দীপু। ৪ চার ও সমান ছক্কার ইনিংসে ৩৯ বলে ৫৭ রান করেন তিনি, ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৩০ বলে ৬১ রান করেন নাজিবউল্লাহ জাদরান।